“স্থায়ীশান্তির পথ: শান্তি ও নিরাপত্তারজন্য তারুণ্যের শক্তি ব্যবহার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ময়মনসিংহ রেঞ্জে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি বর্ণাঢ্য পিসকিপার্স র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মো: হারুন অর রশিদ।
অত্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গনপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার মো: কামরুল হাসান এবং ময়মনসিংহ সেনানিবাসের কমান্ডার ৭৭ পদাতিক ব্রিগেড ও স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক। এছাড়াও স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. মো: আক্কাছ উদ্দিন ভূঁঞা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই শান্তিপ্রিয়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বিশ্ব শান্তিরক্ষায় আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা বাহিনী জীবন উৎসর্গ করে এদেশের মুখ শুধু উজ্জলই করেনি, সফল করেছে সকল শান্তি প্রিয় রাষ্ট্রের সম্বিলিত প্রচেষ্টাকে।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশ পুলিশের কাজে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সফল ও সুনামের সহিত কাজ করছে তার কারন হল তাদের পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা ও সকলধর্ম-বর্ণ ও নারী-পুরুষের প্রতিসংবেদনশীল ও শ্রদ্ধাশীল থেকে কাজকরা। যা শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশকে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তাগন বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন সময়ে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে রেখেছে যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষা মিশনে নিজেদের নাম অক্ষুন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতি জোর তাগিদ দেন।
উক্ত সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক এনামুল হক, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামান, ময়মনসিংহ রেঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ হারুন অর রশীদ, রেঞ্জ অফিসের পুলিশ সুপার (ক্রাইমম্যানেজমেন্ট) মো: ফারুক হোসেন, নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো: আকবর আলী মুন্সী, জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদসহ পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পিসকিপার্স সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।