ময়মনসিংহের নান্দাইলে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরুপ ৬২জন ভূমিহীন ঘর পেয়েছেন। ঘরগুলো গত জানুয়ারি মাসে ভুমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হলেও বর্তমানে অনেক ঘরই ফাঁকা। সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খাঁন তুহিন সরেজমিনে পরিদর্শন করে নির্মানকাজ নিম্নমানের হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন,যারা এ ঘরগুলো তদারকি করে বানিয়েছেন তাদের অনেক গাফিলতি আছে।এখনো বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা হয় নি এদের। নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এঘরগুলো নির্মান হয়েছে। কোনো জনপ্রতিনিধিকে সম্পৃক্ত করা হয় নি নির্মান কাজে কিন্তু কেন? এখন এই নিম্নমানের কাজের দায় কে নিবে? সাংসদের এ স্ট্যাটাস ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয় এবং স্থানীয়ভাবে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।ঘরগুলো নির্মাণকালে প্রকল্পের সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআও) আব্দুল আলিম সরেজমিনে কযেকটি ঘর পরিদর্শন করে সরকারি নিয়মানুযায়ী সামগ্রী ব্যবহার না করায় ভবিষ্যতে কোনো অনিয়মের প্রশ্ন উঠলে সে দায়ভার তিনি নিবেন না বলে মর্মে ইউএনও এরশাদ উদ্দিনের বরাবর চিঠি দেন।পরে ইউএনও নিয়মবহির্ভুত পত্র দেওয়ার জন্য পিআইওকে কৈপিয়ত তলব করে পত্র লিখেন।
উল্লেখ্য প্রতি ঘর নির্মানকাজের সরকারি বরাদ্ধ ছিল ১ লাখ ৭১ হাজর টাকা পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্ধ ৪ হাজার টাকা। সাভার গ্রামে আশ্রায়ন প্রকল্পে নির্মিত ঘরগুলো ভিটেতে মাটি না কাটায় বর্ষাকালে পানি উঠবে বলে সরেজমিনে পরিদর্শন কালে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।তাছাড়া নিম্নমানের কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে বলে সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা গেছে। এসব ঘরে সঠিক সামগ্রী ব্যবহার করা হয় নি স্থানীয়ভাবে অনেকেই জানিযেছেন।ঘরগুলোতে এখনেই ছোট ছোট ফাটল দেখা দিছে, যা সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান কাজ নিম্নমানের হয় নি ভালই হয়েছে।আর বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থার দ্বায়িত্ব আমার দপ্তরের নয়, জনস্বাস্থ্য ও পল্লীবিদ্যুত বিভাগের। এরপরেও এসব বিভাগকে আমি তাগাদা দিচ্ছি। ঘর ফাঁকার থাকার বিষয়ে তিনি জানান অনেকেই রোজগার করতে ঢাকায় বসবাস করেন হয়তো এজন্যই ফাঁকা।