ফিলিস্তিনের গাজায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের বর্বোরোচিত হামলাকে ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ বলে তাতে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞকে সমর্থন দিল লাতিন দেশ ব্রাজিল।
তবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব দিতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার রকেট ইসরায়েলে নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস।
আর এটিকে কৌশল হিসেবে নিয়েছে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু প্রশাসন। তারা বিভিন্নভাবে বিশ্ববাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করছে রকেট হামলার প্রেক্ষিতে তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
এদিকে রবিবার এক টুইট বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের প্রতি সংহতি জানিয়েছে। তাতে দেখা গেছে ওই সব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে ব্রাজিল।
২৫টি দেশের পতাকা প্রকাশ করে নেতানিয়াহু লেখেন ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে আমাদের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। নেতানিয়াহুর প্রকাশ করা বিভিন্ন দেশের পতাকাগুলো মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ৬ নম্বরে রয়েছে ব্রাজিল।
ইসরায়েলের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক অবশ্য পুরনো নয়। বিভিন্ন ইস্যুতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে গিয়ে ইসরায়েলকে সমর্থন করে ব্রাজিল। এর আগে ২০১৮ সালে ব্রাজিলের ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট বলসোনারো জানিয়েছিলেন ব্রাজিল তাদের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে।
এক টুইট বার্তায় বলসোনারো বলেছিলেন, “ইসরায়েল একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং আমরা যথাযথভাবে সেটির প্রতি সম্মান জানাব।”
তিনি আরও জানান, ইসরায়েল তেলআবিব না জেরুজালেমে রাজধানী স্থানান্তর করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। সেই সময় ব্রাজিলের উদারপন্থি রাজনৈতিক সমালোচকরা বলসোনারোর এমন বক্তব্যের চরম সমালোচনা করেছিলেন। তাদের মতে বলসোনারোর এমন বক্তব্যপূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সঙ্গে চরম সাংঘর্ষিক।