ঈদ মানেই আনন্দ, নতুন জামা আর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মিলনমেলা। হৈ-হুল্লো, ঘুরে বেড়ানো, খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডায় মেতে ওঠা। এ উৎসবে মুসলমানরা ঈদগাহে কোলাকুলি করে থাকেন। এছাড়া সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে নতুন করে আবদ্ধ করাও ঈদের অন্যতম অর্থ। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদ আনন্দের সবকিছুতেই ভাটা পড়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ময়মনসিংহের মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ঈদ-উল-ফিতরের নামাযের জামাত। শুক্রবার ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মসজিদে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল পৌনে নয়টা এবং তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায়।
আকুয়া মার্কাজ মসজিদে সকাল ৭টায়, বড় মসজিদে সকাল ৮.৩০ ও ৯.৩০ টায়, গাঙ্গিনারপাড় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং জয়নুল আবেদিন পার্ক মসজিদে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রত্যেক মসজিদের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাত অনুষ্ঠানের জন্য কমিটির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক মুসল্লিকে মাস্ক পড়ে মসজিদে আসার জন্যও আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক।
আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় আজ ঈদ উদযাপন করছেন। গত বুধবার দেশের কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আজ শুক্রবার উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা ভাষণ দেবেন।
এবার খোলা স্থানের পরিবর্তে কাছের মসজিদে অনুষ্ঠেয় ঈদ জামাতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত না করার পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্রে ঘোরাঘুরি না করে নিজ ঘরে ঈদ উদযাপন করতেও বলা হয়েছে।