খুলনায় তিন বন্ধু মিলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৬) গণধর্ষণ করেছে। গত সোমবার রাতে নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার আলিম জুট মিল গেটের আটরা রেললাইন কলাবাগান এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ভবনের ছাদে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধর্ষক সাগরের বাবা রুস্তমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নগরীর আফিলগেট কলোনীর এক বাসিন্দা বাসিন্দার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে আলীমগেট কলাবাগান এলাকার রুস্তম মাস্তানের ছেলে মো. সাগর, তার বন্ধু একই এলাকার টোকনের ছেলে শফিকুর রহমান শফিক এবং রেনু মিয়ার ছেলে বেল্লাল প্রলোভন দেখিয়ে আলিম সিটিগেট এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনের ছাদে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে তিন ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ধর্ষিতা কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করে।
ওই ছাত্রীর ভাই জানান, তার বোনগত সোমবার সকালে পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে সকাল সোয়া ৯টায় সাগর তাকে কৌশলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে তার ভাবীর বাড়ি ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে দুপুরের খাবারের পর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে সন্ধ্যার দিকে আলিম সিটিগেট রেললাইন মিজানের পরিত্যক্ত ভনের ছাদে নিয়ে গণধর্ষণ করে। ঘটনার পর পুলিশ সাগরের পিতা রুস্তম মাস্তানকে রাতেই আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার একটি মসজিদের মুয়াজ্জিনের মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে সাগর নামের এক যুবক তাকে কিছু কেনাকাটা করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরিয়ে সন্ধ্যায় বন্ধু শফিক ও বেল্লাল মিলে ধর্ষণ করেছে। বর্তমানে সে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তিনি বলেন, রাতেই মেয়েটির বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে, মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ কিসমত আলী জানান, সোমবার মেয়েটি স্কুলে যায়নি। সাগর মেয়েটিকে জোর করে তুলে নিয়ে বিল্লাল ও সফিকসহ গণধর্ষণ করে। তারা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করেন।
এলাকাবাসী বলেন, সাগরের সাথে মেয়েটির কিছু দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যার সূত্র ধরে স্কুল পালিয়ে সাগরের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে মেয়েটি।