করোনায় লকডাউনের দেশব্যাপী চলছে ভার্চুয়াল আদালত। এই ভার্চুয়াল শুনানীতে শেরপুরে জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌনে তিন শতাধিক অভিযুক্ত হাজতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। লকডাউনের মধ্যে ১২ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল (পাঁচ কর্ম দিবস বন্ধ) পর্যন্ত ১৩ কার্যদিবসে আদালতের বিচারকগণ এই জামিন মঞ্জুর করেন। তবে এই ভার্চুয়াল শুনানির সুবিধা পাচ্ছে না বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ কারী ও নয়া মামলার অভিযুক্ত অসংখ্য মানুষ।
আদালত সূত্র জানায় কেবল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও তার অধিনস্থ আদালতসমূহ থেকেই জামিন পেয়েছেন ২৩১ অভিযুক্ত। জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রায় ৫০ জন জামিন পেয়েছেন।ভার্চুয়াল আদালতের কল্যাণে হাজতে থাকা এসব বিচার প্রার্থীদের জামিন হওয়াতে পুলিশের ওয়ারেন্ট তামিল করার ঝামেলা ও কারাগারেও কমেছে বন্দির সংখ্যা। দেশের আইন বিভাগ জনস্বার্থে এই লকডাউনে ভার্চুয়াল আদালত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানী বলেন, এই ভার্চুয়াল আদালত অবশ্যই জেলে থাকা জামিন প্রাপ্যদের ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সুযোগ আত্মসমর্পণকারীদের ক্ষেত্রে বিবেচনা করলে অনেক নিরঅপরাধী আইনের মুখোমুখি হতে পারবে। তাদের আশা মানবিক কারণে অন্তত ঈদের আগে হলেও খন্ডকালীন সময়ে স্যারেন্ডার আসামিদের ভার্চুয়াল শুনানি গ্রহণ করা হবে।