ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের ডামের মোড় এলাকার মোঃ বাদশা মিয়ার মেয়ে মর্জিনা ধানিখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনী ছাত্রী তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, বাদশা মিয়ার মেয়ে মর্জিনার ইচ্ছা ছিল সে লেখাপড়া করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে পরিবার ও সমাজের জন্য অবদান রাখবে। কিন্তু মর্জিনার বাবা বাদশাহ মিয়া মেয়ে মর্জিনাকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করার পরই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগে যান। সে যাত্রায় তার বান্ধবীরা মিলে অনেক চেষ্টা করে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। তখন মর্জিনার পরিবার বলেছিল যদি সে ভাল রেজাল্ট করে তাহলে বিয়ে দিবে না। সে বছর মর্জিনা জিপিএ ৫ পেয়েছিল। কিন্তু বাবা তার কথা না রেখে আবারো বিয়ে ঠিক করেন। এর জের ধরেই শনিবারে মর্জিনা একাধিক ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এতেও পরিবারের কোন প্রতিক্রিয়া না হওয়ায় মর্জিনার বান্ধবী সুমি, তিন্নি ,জবা, যুথি, মুনিয়া, ফিমা, ইপা অতি দ্রুত টাকা সংগ্রহ করে বান্ধবী মর্জিনাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ আসাদ বলেন, আমার ইউনিয়নে একটিও বাল্যবিবাহ হতে দিবনা। তিনি বাল্যবিবাহরোধে সরকার ঘোষিত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ আসাদ আরও বলেন আমি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাহার ও ২ জন সহকারী শিক্ষকসহ মর্জিনাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। মর্জিনা এখন অনেকটা সুস্থ। মর্জিনা সুস্থ হয়ে বাড়ীতে আসলে তার বাবা বাদশাহ মিয়া ও তার মা’কে নিয়ে এই ব্যাপারে কাউন্সিলিং এ বসবো এবং তাদের মেধাবী সন্তানকে বাল্যবিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিল তা নিয়ে আলোচনা করবো। এলাকাবাসীর আবেদন মেধাবী ছাত্রী মর্জিনাকে সুস্থ করে তাকে যেন পুনরায় তার শিক্ষার পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।