করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে জনজীবন। দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। করোনা প্রতিরোধে লকডাউনে যৌনপল্লীতে বন্ধ রয়েছে খদ্দের আসা-যাওয়া। ফলে দিনের পর দিন খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে জামালপুরে রানীগঞ্জ যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের।
যেখানে প্রতিদিন হাজার লোকের আসা-যাওয়া ছিল সেখানে লকডাউনের জেরে খদ্দেরদের দেখা নেই। পুরুষশূন্য এই পল্লী আজ অসহায়।
বেসরকারি হিসাবে দুই”শ যৌনকর্মী রয়েছেন। প্রায় ১০ দিন হয়ে গিয়েছে সম্পূর্ণ বন্ধ রোজগার। একবেলা খেলেও আরেক বেলায় খাবার জুটবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় যৌনকর্মীরা। ছোট ছোট বাচ্চাদের খাবার তুলে দিতে পারছেন না যৌনকর্মীরা।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, রানীগঞ্জ যৌনপল্লীর ভেতরে কোনো ভিড় নেই, স্বাভাবিক সময়ে যেখানে যৌনকর্মীরা গলির ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকেন খদ্দেরদের জন্য, লকডাউনের কারণে তেমন চিত্র দেখা যায়নি। গলির ভেতরের কিছু দোকানও ছিল তা বন্ধ।
কেমন আছে এই পল্লীর পতিতারা এমন প্রশ্নে এক যৌনকর্মী বলেন, লকডাউন ও রমজানের মধ্যে জীবন চলা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে । খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে, এখনো কেউ আমাদের পাশে পাশে দাঁড়ায় নেই।পতিতাপল্লীতে শত শত মেয়ে আছে যারা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।
তাদের আবেদন প্রশাসন একটু মানবিক হয়ে তাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এক যৌনকর্মী বলেন, যেটুকু সঞ্চয় ছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছে। সরকারিভাবে কিছু সাহায্য না পেলে অনাহারে আমাদের মরতে হবে। সরকার আমাদের সহযোগিতা করুক।