ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৩লাখ

India Coronaফের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করল দেশ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ হতে চলল। একাধিক উদ্যোগ নিয়েও রাশ টানা যাচ্ছে না সংক্রমণে। রাজ্য়গুলিতে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সংক্রমণে রাশ টানতে নাইট কার্ফু ও উইকএন্ড লকডাউন সহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যগুলি। কিন্তু তাতেও লাভের কিছুই হচ্ছে না। উলটে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৩ জনের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ১৬ হাজার ১৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৫৫৩ জনে। অ্য়াক্টিভ মামলার সংখ্যা ২১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৩৮। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৫৭ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ৩২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৯। করোনাকে ঠেকাতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে দেশের ১৩ কোটি ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৩১০ জনকে। মঙ্গলবারের রিপোর্টে আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমলেও বুধবারের রিপোর্ট তা অনেকটাই বেড়েছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ৩ সপ্তাহ করোনার সংক্রমণ বিপজ্জনক হারে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রসাসিত অঞ্চলগুলিতেও সংক্রমণ মাত্রাছাড়া রূপ নিতে পারে। সেই কারণেই আগেভাগে সমস্ত পরিকল্পনা করে রাখতে পরামর্শ কেন্দ্রীয় সরকারের। মঙ্গলবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিব ও পুলিশ বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নীতি আয়োগ (স্বাস্থ্য)-এর সদস্য চিকিৎসক ভিকে পাল। তিনিই আগামী ৩ সপ্তাহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরো বেশি সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে, মে থেকে ১৮ বছর হলেই করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এখন ৪৫ ঊর্ধ্বদের জন্য করোনা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা সারা দেশে চালু আছে। এখন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার জেরে দেশের করোনা পরিস্থিতি সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে প্রশাসনকে। এর ফলে আবার দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। তাই সেই জায়গা থেকে ১৮ বছর হলেই করোনার টিকা দেওয়ার এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কেননা ভারতে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোনও বয়সকেই ছাড়ছে না। তাই এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন বিশিষ্টরা।

Share this post

scroll to top