আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ব্যবসায়ীর লাশ, বিচার দাবিতে মানববন্ধন

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক মাসুদ রানার বাড়ি থেকে গত শনিবার (১০ এপ্রিল) হাসান আলী নামে এক  ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ব্যবসায়ীকে হত্যার জন্য মাসুদ রানাকে দায়ী করে এর সাথে পুলিশসহ জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গাইবান্ধা চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আজ সোমবার শহরের ডিবি রোডে বিশাল মানববন্ধন করেছে।

ব্যবসায়ীসহ গাইবান্ধার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই মানববন্ধনে যোগ দেন। নিহতের স্ত্রী বিথী বেগম, সাত বছর বয়সী ছেলে হেদায়েতুল ইসলামও ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ান। মানববন্ধন চলাকালে চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শহিদুল ইসলাম শান্ত বলেন, ব্যবসায়ী হাসান আলীকে দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা লালমনিরহাট থেকে অপহরণ করে। আবার তার বাসা থেকেই পুলিশ হাসান আলীকে নিয়ে এসে থানায় সালিশ বৈঠক করে। অথচ সেই অপহরণকারী মাসুদ রানার জিম্মায় হাসান আলীকে দেয় পুলিশ। তারপর দীর্ঘ দিন নিজ বাড়িতে রেখে নির্যাতন করে মাসুদ রানা ব্যবসায়ীকে ৯ এপ্রিল রাতে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তিন আসামির মধ্যে প্রধান আসামী মাসুদ রানা গ্রেফতার হলেও খলিলুর রহমান বাবু ও রুমেন হক এখনো গ্রেফতার হননি। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারসহ জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমানকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ শরীফুল ইসলাম বাবলু, ব্যবাসায়ী সমন্বয় পরিষদ সভাপতি ইকবাল আহমেদ, ওয়ার্কাস পার্টির পলিট ব্যুরো সভাপতি আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, সিপিবি সভাপতি মিহির ঘোষ প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের কাছে দাবীগুলো পেশ করলে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ জড়িত কিনা তা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । আর পাঁচদিন পরেই তারা রিপোর্ট জমা দিবেন। পুলিশ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share this post

scroll to top