নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জাদু খেলার নামে জীবন্ত মানুষকে কবরের ভেতরে ঢুকিয়ে প্রতারণা করে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার রহিমানপুর গ্রামে এমন অভিযোগে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে থানা পুলিশ। তারা হলেন প্রতারক দলের প্রধান মনোয়ার হোসেন এবং দুই সহযোগী মো: পলাশ ও মো: সেলিম। তাদের মধ্যে মনোয়ার পার্শ্ববর্তী রাজশাহী জেলার আড়ানী এলাকার নূরনগর গ্রামের মৃত শাহ মোসলেম দারোগার ছেলে এবং মো: পলাশ একই গ্রামের মৃত পিয়ার আলীর ছেলে। এ ছাড়া মো: সেলিম একই এলাকার ঝিনা গ্রামের মাসুদের ছেলে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার এসআই খাইরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে রহিমানপুর বাজার থেকে কিছু দূরে গ্রামের ভেতরে জাদু খেলার নামে মনোয়ার রাস্তার পাশে নিজেরাই কৃত্রিম কবর বানিয়ে সহযোগী সেলিমকে কবরে ঢুকিয়ে টিন দিয়ে তার উপরে মাটি চাপা দেয়। এরপর গ্রামের নারী-পুরুষকে আর্থিক সহযোগিতা করার অনুরোধ করে। সহযোগিতা না করলে কবরের ভেতরের মানুষটি সত্যি সত্যি মারা যাবে এমন কথা বলে প্রতারণা শুরু করে। সাধারণ মানুষ মনোয়ারের কথায় অর্থসহ ধান, চাল দিতে থাকে। ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এরপর দ্রুত মাটি খুঁড়ে কবর থেকে সেলিমকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মনোয়ার হোসেনের গ্রামের একজন জানিয়েছেন, মনোয়ার দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে জাদু দেখিয়ে বেড়ায়।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ পিপিএম বলেন, জীবন্ত মানুষকে কবরে ঢুকিয়ে দীর্ঘ সময় মাটি চাপা দিয়ে রাখায় ওই ব্যক্তির প্রাণ সংশয় ছিল। তা ছাড়াও বিভিন্ন থানায় মনোয়ারের বিরুদ্ধে দু’টি ও পলাশের বিরুদ্ধে পাঁচটি মাদকের মামলা রয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।