তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এর আগে বাংলাদেশে হয়নি। নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। এজন্য তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা। সেজন্য নানা ধরনের কথা বলছেন।
সোমবার বিকেলে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। গত রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতেই এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
রিজভীকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভীর এ ধরনের বক্তব্যে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্তের প্রকাশ করছে। রিজভী আহমেদকে বলব, প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বকে আরও তুলে ধরার চেয়ে তাদের উচিৎ, কেন তাদের নির্বাচনে পরাজয় হলো, কেন প্রার্থীরা প্রচারণা করেনি তা খুঁজে বের করা। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো বক্তব্য না দিয়ে কেন পরাজয় হলো তা বিচার-বিশ্লেষণ করে বের করা।
তিনি বলেন, বিএনপির এমন ধস নামানো পরাজয় আমরাও আশা করি না। আমরাও চাই শক্তিশালী বিরোধী দল থাক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মতো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে এর আগে হয়নি। পুলিশের হিসাব মতে, প্রতি নির্বাচনে তাদের ওপর হামলা হয়, অনেক পুলিশ আহত হয়, এমনকি নিহতও হয়। কিন্তু এবারের নির্বাচনে কোনো পুলিশ আহত হয়নি। নির্বাচন ছিল অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর।
হাছান মাহমুদ বলেন, ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির ভরা ডুবি হবে সেটা তারা জানতেন। এজ্যন তারা প্রচার প্রচারণা ঠিকমতো করেনি। তারা ৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থীকে মনোনয়োন দিয়েছেন। এতে করে প্রার্থীদের মধ্যে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। আমরা বহুমাত্রিক প্রচার চালিয়েছি। এছাড়া আমাদের প্রার্থীরা মোবাইল ফোনে প্রচারণা চালিয়েছে। এগুলোর কোনটাই বিএনপি করেনি। তারা প্রচারণার জন্য পোস্টার পর্যন্ত লাগায়নি।
নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নতুন হওয়ায় কমিটিগুলো নতুন করে গঠন করতে হয়। তাই নবম ওয়েজ বোর্ডের জন্যও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। এতে ৫ মন্ত্রী ও ২ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছে। তাই ২৮ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট দেওয়া কি সম্ভব? এর জন্য মন্ত্রণালয়সহ সাংবাদিকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। এছাড়া অনেক ধাপ অতিক্রম করতে হবে।
অনলাইন পত্রিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, অনলাইনের জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। নীতিমালার আলোকে আগে নিবন্ধন করেন। আপনাদের সহযোগিতা চাই। আশা করি আস্তে আস্তে আমরা সব করতে পারবো।