কিশোরগঞ্জে নিজ সন্তানকে হত্যার অপরাধে মা ছালমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম এ রায় প্রদান করেন। আসামী ছালমা (৩৫) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের প্যারাভাঙ্গা গ্রামের আসাদ মিয়ার মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্যারাভাঙ্গা গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে অবস্থানকালীন তার পনেরো মাস বয়সী শিশুপুত্র মাহাথি মোহাম্মদকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ওইদিনই স্বামী আবুল কালাম বাদী হয়ে ছালমাকে একমাত্র আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন এবং এরপরই পুলিশ ছালমাকে গ্রেফতার করে। পরদিন ছালমা আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, সন্তানের কান্নাকাটির কারণে অসহ্য হয়ে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মুর্শেদ জামান, ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ছালমার স্বামী ও মামলার বাদী আবুল কালামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের টামনি আকন্দপাড়া গ্রামে। এ দম্পতির তাইয়েবা নামে চার বছর বয়সী আরও এক কন্যা রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত এপিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রায় প্রদানের সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছালমা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম খান বাচ্চু মামলাটি পরিচালনা করেন।