গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তাকিয়ে দেখেন, চারপাশ থেকে জনগণ চাপতে শুরু করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আপনার পিতার অমর বাণীটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- আর দাবিয়ে রাখাতে পারবানা।
বিচারপতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজ কিশোরের যে রায়টি দিয়েছেন সেটি অসম্পূর্ণ রায় । যারা সংবিধান ভঙ্গ করেছেন। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন । এটি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ।
তিনি বলেন, আজকে কিশোরের মুক্ত হয়েছে। আমি আনন্দিত। কিন্তু আমি চিন্তিত বটেও। লেখক ও কলামিস্ট মোস্তাক আহমেদে মৃত্যুর আগে তার পরিবারকে বলেছিল আমার কথা চিন্তা করো না, কিশোরের কথা চিন্তা কর না। কিন্তু তারই মরতে হলো। এসময় আজকে বিভিন্ন অজুহাতে যাদেরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদেরকে মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে জাফর উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে আমাদের কারো হাতে ইট পাথর লাঠি নেই। আমরা নিরস্ত্র। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাই। আজ আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে পথযাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। দায়িত্ব হলো, আপনারা দায়িত্ব নিয়ে, পাহারা দিয়ে আমাদেরকে পৌঁছে দেয়া। ওনার সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেয়া।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্যকে এসপি পদমর্যাদা পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ-সুবিধা করে দিবো। আপনাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করে দেবো। আপনারা সরকারের পাশে নয়, আমাদের পাশে, জনগণের পাশে থাকুন।
নাগরিক সমাবেশের সভাপতির ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখছেন নাগরিক ঐক্যের মাহামুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েক সাকী, আলোকচিত্রী শহিদুল, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ, কবি ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক সেলিম খান, রাষ্ট্রচিন্তার অন্যতম সদস্য এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুমসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ।
লেখক ও কলামিস্ট মোস্তাক আহমেদের হত্যার প্রতিবাদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে নাগরিক সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।