এক মাসে ৭৫ জনকে স্বাভাবিক প্রসব সেবা দিয়ে দেশে ৩য় স্থান অর্জন করেছে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এ কার্যক্রমে দেশসেরা ত্রিশের তালিকায় এসেছে শুধু হবিগঞ্জেরই ছয়টি কেন্দ্র।
সিলেট বিভাগেও স্বাভাবিক প্রসব সেবায় এ জেলার অবস্থান শীর্ষে।
জানা গেছে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বাভাবিক প্রসব সেবা দানকারী ৩০টি কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে। ৭৫ জনকে এ সেবা দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।
এছাড়া ৭২ জনকে সেবা দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে সদর উপজেলার পইল, ৬৯ জনকে সেবা দিয়ে ৬ষ্ঠ আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও, ৪৩ জনকে সেবা দিয়ে ১৮তম নবীগঞ্জের পানিউমদা, ৪০ জনকে সেবা দিয়ে ২৩তম বাহুবলের পুটিজুরী এবং ৩৬ জনকে সেবা দিয়ে ২৬ নম্বরে নবীগঞ্জের দেবপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে জানুয়ারি মাসে মোট স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ১ হাজার ৪৯৮টি। এর মধ্যে হবিগঞ্জের ৭৭টি কেন্দ্রেই হয়েছে ৯২০টি। বাকি তিনটি জেলায় ৫৭৮টি। এগুলোর মধ্যে সিলেট ৩৩৯, সুনামগঞ্জ ১৫৮ এবং মৌলভীবাজার জেলায় ৮১টি।
হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকেই হাওরাঞ্চল হবিগঞ্জের ৭৭টি কেন্দ্রে অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়া হচ্ছে। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে হবিগঞ্জের নাম শীর্ষে এলো।
এর মাঝে হবিগঞ্জে সবচেয়ে ভাল কাজ করছে লাখাই উপজেলার করাব এবং সদর উপজেলার পইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। করাবে প্রতি মাসেই ৬০ থেকে ৭০টি স্বাভাবিক প্রসব হচ্ছে।
এ কেন্দ্রটিতে ২০১৯ সালে ৩৮৬টি এবং ২০২০ সালে ৫২৬টি স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। আর চলতি বছরের শুরুতে এক মাসেই ৭৫ জনকে সেবা দেওয়া হয়েছে।
করাব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সেবায় জড়িত রয়েছেন- উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. ফরাশ উদ্দিন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সঞ্জিত সিনহা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা সূচিত্রা রাণী দাস, পরিবার কল্যাণ সহকারী রাজিয়া সুলতানা সীমা।