শেরপুরের নকলায় একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী (১৩)। এরপর বিয়ের কথা বলায় প্রমাণ নষ্ট করতে কিশোরীর গর্ভপাত করানো হয়।
এ অভিযোগে ধর্ষক রহিম মিয়া (১৮) ও তার মা সাজেদা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নকলা পৌর শহরের দড়িপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তারা দড়িপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে ও স্ত্রী। বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হলে তাদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রহিম মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাসের পর মাস ধরে ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ফলে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
কিশোরীর মা একাধিকবার রহিম ও তার মা সাজেদা বেগমকে তাদের সম্পর্কের জেরে বিবাহের কথা বললে তারা সময়ক্ষেপণ করে। পরে গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে ওই কিশোরী একটি মৃত সন্তান প্রসব করে।
রাতেই সন্তানটিকে মাটিচাপা দেয়ার চেষ্টা করে কিশোরীর পরিবার। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে পুলিশ সংবাদ পেয়ে সদ্য নবজাতকটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নকলা থানার ওসি মো. মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষণ, ঘটনার সহায়তা এবং ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ এনে নকলা থানায় মামলা করেছে ওই কিশোরী। পরে অভিযুক্ত রহিম ও তার মাকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হলে তাদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।