রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে।
নিহতের নাম হামিদুল ইসলাম (৫৭)। তিনি সেগুনবাগিচা এলাকায় ডিস লাইনের ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
হামিদুল বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (বাংলাদেশ জাসদ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এবং শাহবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
রবিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহতের ছোট ভাই মো. ওয়াহিদুল ইসলাম তার পরিচয় শনাক্ত করেন।
তিনি জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর কলেজ রোডে। বাবা মৃত রফিকুল ইসলাম। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিল হামিদুল।
মেয়ে নায়না ইসলাম (২৪) ও ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২১) সহ স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে নিয়ে সেগুনবাগিচা হাইস্কুলের পাশে বসতি-ময়ূরী অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন হামিদুল।
ওয়াহিদুল আরও জানান, তার বড় ভাই ৯০ সালের পর থেকে সেগুনবাগিচা এবং এর আশপাশের এলাকায় ডিস লাইনের ব্যবসা করে আসছেন।
তিনি বলেন, হামিদুলের সঙ্গে কারও শত্রুতা আছে বলে আমরা শুনিনি। আর তার শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের মনে হচ্ছে এটি ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাত। কেননা কেউ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করলে বুকে বা পেটে ছুরিকাঘাত করতো, তার পায়ে ছুরিকাঘাত করতো না।