নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত বাংলাদেশী খলিলুর রহমানের(৩৫) লাশ ফিরত দেয়া হয়নি। নিহত খলিলুর রহমান উপজেলা পশ্চিম ছাতনাই (খালপাড়া) গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর পুত্র।
ঘটনার প্রতিবাদে ও লাশ ফেরতের দাবিতে দু’দেশের সীমান্তের ৭৯১ নম্বর পিলারের কাছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা হতে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ লাশ ফিরত দেয়া প্রতিশ্রুতি রাত ৭টা পর্যন্ত
ওই পতাকা বৈঠকে ভারতের হলদিবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আশীষ কুমার সিংহ, বাংলাদেশের বালাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মোবারক হোসেন, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বৈঠকে বিএসএফ’র দাবি করেন নিহত বাংলাদেশী একজন গরু ব্যবসায়ী। ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের লাশ ফিরত পায়নি তার পরিবার।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন বলেন, অবৈধভাবে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের কারণে এ গুলির ঘটনা ঘটতে পারে। তবে নিহত খলিল গরু ব্যবসায়ী না মাদক ব্যবসায়ী তা তদন্ত করে দেখা হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫ টায় দিকে নিহত খলিলুল রহমান অজ্ঞাত কারণে ভারত সীমান্তের ভিতরে প্রবেশ করলে ভারতের ভুজারী পাড়া ক্যাম্পের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র একটি টহল দল তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায়। এসময় খলিলুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বিএসএফ’র দল তাকে টেনে ভারতে নিয়ে যায়। সে একজন রাইচ মিল শ্রমিক।
নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম বলেন, সোমবার বিকেল থেকে সে বাড়ীতে আসে নাই। তার ১ পুত্র ও ১ কন্যা রয়েছে।