ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী এস এম ইকবাল হোসেন সুমন জয়ী হয়েছেন। সুমন পেয়েছেন ১২৪১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী পেয়েছেন ১৯০ ভোট। এর আগে সোমবার সকাল ৮টায় গফরগাঁও পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার শামসুন নাহার ভূঁইয়া সুমনের জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গফরগাঁও পোরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে এরই মধ্যে দুইজন সংরক্ষিত ও দুইজন সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জানাযায়, গত ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই পৌর এলাকা নৌকার প্রচারণায় মুখর। দলীয় প্রার্থী এস.এম ইকবাল হোসেন সুমন ওয়ার্ড ভিত্তিক নির্বাচনী প্রচারণা চালান জোরেশোরে। অপরদিকে শেষ মূহুর্তে এসেও কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রস্ততি নেই বিএনপি প্রার্থীর। প্রচারণার শুরু থেকেই দলটি ছিল ছন্নছাড়া। বিএনপির পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি ক্যাম্পেইন, কোন উঠান বেঠক কিংবা পথসভার আয়োজন করা হয়নি। ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পও ছিল না। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি তারা ভোটার স্লিপও বিতরন করেনি। এমনকি নির্বাচনের দিনে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষের কোনো পোস্টারও ছিলনা ভোট কেন্দ্রগুলোতে।
ভোটের আগের দিনই বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী শাহ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, ‘পোস্টার দিয়ে কী হবে? আমি ইচ্ছা করেই কেন্দ্রগুলোতে পোস্টার দেইনি। কারণ, সুষ্ঠু ভোট হবে কী না তা নিয়ে সংশয় আছে ভোটারদের। তবে নির্বাচনী পরিবেশ থাকলে আমার পক্ষে নিরব বিপ্লব ঘটবে।’
১৯৯৯ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গফরগাঁও পৌরসভা গঠিত হয়। পৌরসভায় মোট ভোটার ২২ হাজার ২৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৮৬১ জন এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৪৩৫ জন।