টমাস টুখেলের বিদায়ের পর পিএসজিতে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ভাবা হচ্ছে মাউরিসিও পচেত্তিনোকে। আর টটেনহামের সাবেক আর্জেন্টাইন কোচের সঙ্গে অবধারিতভাবেই যেন ওঠে আসছে লিওনেল মেসির নাম।
ফরাসি ও স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, পচেত্তিনোকে দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে পিএসজির একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। আর তা হলো, আগামী গ্রীষ্মেই মেসিকে পার্ক দেস প্রিন্সেসে নিয়ে আসা। পচেত্তিনো নিজেও মেসির কোচ হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন অনেকবার।
২০২১ সালের ৩০ জুন বার্সার সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তবে কাতালান জায়ান্টদের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড চাইলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই অন্য ক্লাবের সঙ্গে দলবদল নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারবেন। মূলত এজন্যই তড়িঘড়ি পচেত্তিনোর সঙ্গে চুক্তি সেরে নিতে চায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লঁ প্যারিসিয়ান’ দাবি করেছে, আগামী মৌসুমেই স্বদেশী কোচের অধীনে খেলতে দেখা যেতে পারে মেসিকে। আর বার্সা অধিনায়ককে প্যারিসে আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন পচেত্তিনো নিজেই।
পিএসজির বর্তমান স্কোয়াডে মেসির কয়েকজন কাছের বন্ধু আছেন। বিশেষ করে নেইমার জুনিয়র। বার্সায় একসঙ্গে দারুণ জুটি গড়েছিলেন দুজনে। ২০১৭ সালে সেই জুটি ভাঙলেও তাদের বন্ধুত্বে কোনো ফাটল ধরেনি। নেইমার নিজেও কিছুদিন আগে মেসির সঙ্গে আবার খেলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন। গতবার তো মেসিকে কেনার পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি।
পিএসজিতে আনহেল দি মারিয়াও আছেন। এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের সঙ্গে মেসির বন্ধুত্ব বেশ গভীর। তবে ঝামেলা পাকাতে পারেন ইকার্দি। স্বদেশী হলেও এই একজনকে মেসি ব্যক্তিগত কারণে অপছন্দ করেন। মেসির কারণে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলেও জায়গা হয় না এই সাবেক ইন্টার মিলান তারকার। সেক্ষেত্রে মেসি যাওয়ার পর ইকার্দির কপাল পুড়বে সন্দেহ নেই।
তবে সবকিছু নির্ভর করছে মেসির ওপর। গত গ্রীষ্মে ব্যুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে ক্যাম্প ন্যু ছাড়তে চাইলেও এবার তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না তার মধ্যে। বোর্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তোমেউ পদত্যাগ করার পর থেকেই কিছুটা নীরব দেখা যাচ্ছে তাকে। যদিও দলের সাম্প্রতিক ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি।
মেসির ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে তা জানতে হলে অপেক্ষায় থাকতে হবে আগামী জানুয়ারির ২৪ তারিখ পর্যন্ত। কারণ ওইদিন বার্সার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের প্রায় সবাই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু পিএসজি যদি টাকার ঝুলি নিয়ে মাঠে নামে, আর্থিক সংকটে থাকা বার্সার পক্ষে মেসিকে ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব বলেই ধারণা করা হচ্ছে।