গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মাসুদুর রহমান হত্যার ঘটনায় পুলিশের হেফাজতে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ (রিমান্ড) শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে মেয়র রফিকুল ইসলামকে। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, রিমান্ডে রফিকুল জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি। মামলার অন্যান্য তথ্য যাচাই–বাছাই করে তদন্ত চলছে।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নেওয়া হলে মাহবুবা আক্তার তাঁকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
রফিকুল গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগেরও সভাপতি।
উল্লেখ্য, মাসুদুর রহমান শুভ্র আসন্ন গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসাবে প্রচারণায় ছিলেন। গত ১৭ অক্টোবর রাতে পৌর শহরের পানমহালে একদল সন্ত্রাসী শুভ্র সহ তার দুই সহযোগীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে ওইদিন রাতে শুভ্রর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত শুভ্রর ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত বাদী হয়ে ১৯ অক্টোবর গৌরীপুর থানায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ ও গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সহ নাম উল্লেখ ১৪ জন ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে বিরুদ্ধে মামলা করে।
এছাড়া মামলার প্রধান আসামী মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ শুভ্র হত্যা মামলায় জেলহাজাতে থাকায় তাকে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।