শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে স্ত্রীর হাতে খুন হলো পাবনার চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপারা গ্রামের কাবিল বিশ্বাস (২২) নামের এক যুবক। কাবিল উক্ত গ্রামের নওশের বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনায় স্ত্রী রুমীকে আটক করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, ৪ মাস আগে আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে কাবিল গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর নাবালিকা মেয়ে রুমী খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী রুমী খাতুন স্বামী কাবিল বিশ্বাস কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠছে।
শনিবার ভোর রাতে স্ত্রী তার কাছে থাকা ধারালো হাসুয়া দ্বারা স্বামী কাবিলের অন্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গ কেটে দিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় কাবিল বিশ্বাস। ঘটনাটি জানাজানি হলে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ শনিবার বেলা ১২টার দিকে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী রুমীকে গ্রেফতার করে এবং কাবিলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে য়ায়।
রুমী স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, বিয়ের পর থেকে তাকে দিনরাত যৌন নির্যাতন করে আসছিল তার স্বামী কাবিল বিশ্বাস। স্বামীকে অনেক নিষেধ করার পরও সকল বাধা উপেক্ষা করে যৌন নির্যাতন চালাত। রুমি’র
পারিবারিক সূত্র জানায়, বিয়ের পর থেকেই কাবিল যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে স্ত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালাতো। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত এক জানুয়ারি পিঠা খাওয়ার কথা বলে রুমি তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
চরপারা গ্রামের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেড়াতে শ্বশুর বাড়ি যান কাবিল। শুক্রবার সেখানেই রাত যাপন করছিলেন তিনি। শনিবার ভোর রাতে স্ত্রী কর্তৃক ধারালো হাসুয়ার আঘাতে প্রাণ দিতে হলো তাকে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোঃ সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রুমী এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পোষ্টমর্টেমের জন্য লাশ নাটোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।