পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রেখে যুবককে হত্যা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার টোরাগড় এলাকায় বাড়ির লোকজনের হাত পা বেঁধে রেখে মজনু হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। একই সময় তারা বাড়িতে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ৭ নম্বর ওয়ার্ড টোরাগড় আনোয়ার মিজির বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। খুন হওয়া মজনু ওই এলাকার আমিন মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন গাড়িচালক।

মজনুর ছোট ভাই প্রবাসী মফিজের স্ত্রী মাহমুদা বলেন, মফিজ, তার শাশুড়ি রুপবানু এবং তিনি ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। অন্যদিনের মত রাতের খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন।

মা রুপবানু বলেন, গভীর রাতে ঘরে দুই জন লোক ঢুকে আমার ও মফিজের স্ত্রী মাহমুদার হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে তারা মজনুর ঘরে যায়। এসময় তাদের সঙ্গে আরেকজন যোগ হয়। আমি তাদের সবকিছু নিয়ে যেতে বলি, কিন্তু আমার ছেলের যেন কোনো ক্ষতি না করে। পরে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মজনুর গলায় আঘাত করে হত্যা করে এবং ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এসময় তারা ঘরে থাকা সব জিনিসপত্র তছনছ করে ফেলে।

মজনুর প্রবাস ফেরত আরেক ভাই মন্টু জানায়, তিনিও একই বাড়িতে থাকেন। ভোরে ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে ঢুকে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পান, পরে স্থানীয় কাউন্সিলার এমরান হোসেনকে জানান। এমরান হোসেন তাৎক্ষণিক বিষয়টি হাজীগঞ্জ থানায় জানান।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুরো বাড়িটি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।

চাঁদপুর পিবিআই এর পরিদর্শক আবু বকর বলেন, আমরা এসে যা দেখেছি, তাতে কোনো লোক বাইরে থেকে এই বাড়িতে ঢুকেছে বলে মনে হয়নি। আবার কোনো কেউ ঘর থেকে বাইরে গেছে এমন কোনো চিহ্নও পাইনি। পুরো ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। বাড়ির ছাদে দু’টি খালি ব্রিফকেস পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেন জানান, মজনুর খুন হওয়ার বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। আমরা তদন্ত করে দেখছি। এখনই এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা যাবে না। আমাদের তদন্ত কাজের সঙ্গে পিবিআই সদস্যরা যোগ হয়েছেন।

Share this post

scroll to top