অল্প অল্প করে কমতে শুরু করেছে ময়মনসিংহের তাপমাত্রা। ময়মনসিংহ বিভাগে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস করে তাপমাত্রা কমেছে। জমাট বাঁধা কুয়াশা আর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে শীত সে তুলনায় বেশিই অনুভূত হচ্ছে। এদিকে ময়মনসিংহ অঞ্চলে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও এর আশেপাশের এলাকা পর্যন্ত অবস্থান করছে। এর প্রভাবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহে বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৬, যা গতকাল ছিল সীতাকুণ্ডে ১৪ দশমিক ৩। এ হিসেবে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। এদিকে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ৬, আজ তা কমে ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। একইভাবে ময়মনসিংহে গতকাল ছিল ১৫ দশমিক ৬, আজ তা কমে হয়েছে ১৪ দশমিক ৪। চট্টগ্রামে ছিল ১৭ দশমিক ৪, আজ তা ১৬ দশমিক ৫। সিলেটে ছিল ১৬ দশমিক ৪, আজ কমে ১৫ দশমিক ৫। রাজশাহীতে ছিল ১৬, আজ ১৪ দশমিক ৬। রংপুরে ছিল ১৬ দশমিক ৩, আজ ১৫। খুলনায় ছিল ১৬, আজ ১৪। আর বরিশালে সবচেয়ে বেশি কমেছে। সেখানে ছিল ১৬ দশমিক ৩, আজ ৩ ডিগ্রি কমে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদরা জানান, আগামী ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করতে পারে। ওই সময় সপ্তাহখানেক দেশের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।