মুখোমুখি সংঘর্ষের পর বিআরটিসি বাস ও ২টি সিএনজি সড়কের পাশে গভীর খাদে পড়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মা-মেয়ে ও একই পরিবারের ৩ জনসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ফুলতলী বাজারের শাহ মুশকিল আহসান (র.) মাজারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার অভিযান চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
নিহতদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- গজনাইপুর ইউনিয়নের মুড়াউরা গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী সামিরুন বেগম (২৮), মেয়ে মারিয়া আক্তার (২), আবু তাহেরের ভাই আনু মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (২৫), সাতাইহাল গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র অন্তর মিয়া (২২), সাতাইহাল (কাজীপাড়া) গ্রামের লিজা আক্তার (১৯), দেবপাড়া ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের কিতাব আলী (৩০)। এছাড়া একজন অজ্ঞাত পুরুষ মারা গেছেন।
জানা যায়, কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী বিআরটিসি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ঢাকা পরিবহনের বাসের সঙ্গে আউশকান্দি হতে পানিউমদাগামী যাত্রীবাহী দুটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। একটি সিএনজিসহ বাস মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাসের যাত্রীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা, শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ, নবীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ স্থানীয় জনসাধারণ উদ্ধার কাজ শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি এরশাদুল হক ভূঁইয়া দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।