ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শপথ গ্রহণ করে সংসদে এসে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের বন্ধুদের অনুরোধ করবো, আপনারা সংখ্যায় যে কয় জনই হন না কেন, মাথা গরম না করে শপথ নিয়ে সংসদে আসুন। সংসদে ভূমিকা রাখুন। আপনাদের বক্তব্য মানুষ গ্রহণ করতে পারে।’
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বঙ্গমাতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গমাতা পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, বঙ্গমাতা পরিষদের সভাপতি আনিছুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, ‘আমরা আশা করবো, এক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতরা শপথ গ্রহণ করবেন, সংসদে তারা ভূমিকা রাখবেন। জনগণের ম্যান্ডেট তারা পেয়েছে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেজন্য আমি মনে করি, তারা সংসদে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন, ধ্বংসাত্মক এবং নৈরাজ্যমূলক কাজ তারা করবেন না।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, রাজাকার এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য জনগণের কাছ থেকে যে ম্যান্ডেট পেয়েছি, এটা আমরা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।
সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সবারই আশা বিরোধী দল হিসাবে জাতীয় পার্টি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য, গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তারা তাদের ভূমিকা রাখবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানের কারাগার থেকে বাংলা মায়ের কোলে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু। ইতিহাসে এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, একাত্তর সালের ডিসেম্বর মাসে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। আর জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সেই বিজয়ের পূর্ণতা পেয়েছিল। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে সেই ডিসেম্বর মাসেই আমরা বিপুল বিজয় অর্জন করেছি। আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশের সব নাগরিককে শুভেচ্ছা জানাই।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সব অর্জনেই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে সব ধরনের সহায়তা করেছেন বলেই আজ আমরা বিজয় অর্জন করেছি।