ম্যারাডোনা যে শুধুমাত্র ফুটবল মাঠের জাদুকর ছিলেন, তা নয়। তিনি ফুটবল মাঠেও প্রতিবাদী এক চরিত্র। তিনি ফিফাকেও ভয় পাননি, তিনি নিজের দেশের ফেডারেশনকেও ভয় পাননি। যা ন্যায্য মনে করেছেন, তাই করেছেন। সমাজের ক্ষেত্রেও তিনি আসলে তৃতীয় দুনিয়ার প্রতিনিধি। তার ডান বাহুতে চে গুয়েভারার উল্কি (ট্যাটু)। আর বাম পায়ে সযত্নে এঁকে রেখেছিলেন ফিদেল কাস্ত্রোর ছবি। এছাড়া হুগো শাভেজ ছিলেন তার প্রাণের বন্ধু।
ম্যারাডোনা নিজের মনের বিশ্বাসকে কখনও গোপন করার চেষ্টা করেননি। সেইজন্যই অন্ধকারের দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসে ফিরতে পেরেছিলেন ফুটবলের কাছে। জাতীয় দলের কোচ হতে পেরেছিলেন। ম্যারাডোনা হচ্ছেন পৃথিবীর দলিত-শোষিত মানুষের হৃদয়ের জাদুকর।
ফিদেলের মৃত্যুদিবসেই প্রয়াত হলেন ম্যারাডোনা, একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এ একধরনের সমাপতনও বলা যায়, আবার প্রাণের টান না মনের টান তা বলা মুশকিল। তবে তার চেতনায় সমাজবাদ ছেয়ে ছিল এবং পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে যে তার তীব্র ঘৃণা, তার প্রমাণ আমেরিকার বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ বরাবর চড়া সুরে বেজেছে। ফুটবলের পাশাপাশি তার এই অপরাজেয় চরিত্রই তাকে স্মরণীয় করে রাখবে কালের বুকে।