কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের জাহিদুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় দুপুরের খাবার খেতে যায় অভিযোগ করা শিক্ষার্থী। খাবার খাওয়ার পর হাত ধোয়ার সময় এক বড় ভাইয়ের সাথে কথা হচ্ছিল। এমন সময় কোনো কারণ ছাড়াই শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্যাউন্টিং এন্ড ইনফেমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিউল আলম দীপ্ত তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। সে সময় জুনায়েদ ও মিঠুনসহ (২০১৬-১৭ সেশন) কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাফেটেরিয়ায় ও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সামনেই তাকে মারধর করা হয়।
আহত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেন।
আহত শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন,‘আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই দীপ্ত, জুনায়েদ ও মিঠুনসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। কানে প্রচন্ড আঘাত পাওয়ায় কানে ঠিকমত শুনতে পাচ্ছি না। যারা আমাকে বিনা কারণে মারধর করেছে তাদের যথাযথ শাস্তি দেয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাফিউল আলম দীপ্ত বলেন, ‘অভিযোগকারী শিক্ষার্থী হাত ধোয়ার সময় ময়লা লাগিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তার ব্যাচ জানতে চাইলে আমাদের সাথে তর্ক ও বেয়াদবি করে। এক পর্যায়ে তাকে একটা চড় দিয়ে ক্যাফেটেরিয়া থেকে বের করে দেয়া হয়।’
ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক এ শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতাম না। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন,‘আমার কাছে অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে। আগামীকাল অভিযোগ দেখে প্রক্টরিয়াল বডি ব্যবস্থা নিবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইকবাল খাঁনকে ও ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর রায়হান ইসলাম নামের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ৭ম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগসহ বিভিন্ন সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ও সাধারন শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে প্রধান অভিযুক্ত রাফিউল আলম দীপ্তর বিরুদ্ধে।