আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সব বিষয়ে সরকারের বিরোধীতা করাই বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক কৌশল।
বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার পথে বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি এ পর্যন্ত কী ভূমিকা রেখেছে, বিএনপি নেতাদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবকিছুতেই সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর সমালোচনা করা ছাড়া বিএনপির আর কিছু নেই। সরকারের কোনো একটা ভালো কাজের প্রশংসা তাদের মুখ দিয়ে বের হয় না,তারা সাদাকে সাদা আর সত্যকে সত্য বলতে পারেনা।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধীতাই তাদের একমাত্র রাজনৈতিক কৌশল। তাহলে বিএনপি কিভাবে গণতন্ত্রের বিকাশমান রঙধনুতে রঙ যুক্ত করবে? গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বিএনপির যেই দলগত ভূমিকা জনগণ প্রত্যাশা করে তা থেকে তারা বহুদূরে অবস্থান করছে।’
বিএনপির রাজনীতির পথ ষড়যন্ত্রের, গণতন্ত্রের নয় জানিয়ে কাদের বলেন এ দলটি জন্ম থেকেই এ পর্যন্ত তা প্রমাণ করেছে বারবার।
আমেরিকার নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশনের নয়,বিরোধী দলেরও শেখার অনেক কিছু আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার আওতায় থেকেই কমিশন কাজ করছে। বিএনপিকে জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা দিলেই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ও ভালো।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিচার বিভাগ নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং চাপমুক্ত হয়ে কাজ করছে। সাম্প্রতিক নানান ঘটনায় আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রায় এসেছে এবং শাস্তি ভোগ করছে, সরকার কোনো কিছুতেই হস্তক্ষেপ করেনি। এ থেকেই প্রমাণ হয় বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষে রায় গেলে তারা বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানায়, আর বিপক্ষে গেলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।
দূর্নীতি দমন কমিশনও স্বাধীনভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে, শাস্তি হয়েছে- এ থেকে স্পষ্ট যে দুদকের উপরও সরকারের কোনো হস্তক্ষেপনেই।
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের ভরাডুবি টের পেয়ে বরাবরের মতো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা নানান অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
‘সরকার না কি জণগণের মনের ভাষা বুঝতে পারে না’ মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান জনগণের মণিকোঠায়। এদেশের রাজনীতিতে ৭৫ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জনঘণিষ্ঠ রাজনীতিবীদের নাম শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের রাজনীতি করে বলেই জনগণের মনের ভাষা বুঝতে পারে। পক্ষান্তরে বিএনপি জণগণের মনের ভাষা বুঝতে পারাতো দুরের কথা, নিজ দলের নেতাকর্মীদেরই মনের ভাষাও বুঝতে পারে না।
সূত্র : বাসস