ইরিয়াস আহমেদ : ময়মনসিংহের ভালুকায় রায়ত হিসেবে আশ্রয়ের সুযোগ নিয়ে জমির ভাগ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। ভাগ না দেওয়ায় হয়রানী ও মামলার স্বীকার হচ্ছেন হাজী পরিবার। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে শালিস করেও সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আক্তার হোসেন সরকার বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে মেদুয়ারী ইউনিয়নের বরাইদ গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিম ভূমিহীন আবুল কাশেমের পরিবারকে তার জমিতে রায়ত হিসাবে থাকতে দেন। পরবর্তীতে মৌখিকভাবে ২২ শতাংশ জমিও তাদের দেন ঘর তৈরির জন্য। আবুল কাশেম মারা যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পর থেকে তার ছেলে মেয়েরা মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে মেয়েদের কাছে ভূয়া দলিলে ৭.৮৬ শতাংশ জমি দাবি করে আসছে। এ নিয়ে আদালতে দুটি মামলাও করে তারা। কিন্তু সঠিক কোন কাগজ পত্র না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। তারপরেও জমি দখলে নেয়ার জন্য নানা ভাবে হয়রানী করছে। এ নিয়ে আমরা অনেকবার শালিস করেছি। কিন্তু মৃত আবুল কাশেমের ছেলে কয়েস মাহমুদ ও তার বোনেরা সঠিক কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। জমিজমার বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে লুৎফর রহমান ও ভাইয়েরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জমির মালিক দাবি করা লুৎফর রহমান বলেন, লোহাবৈ মৌজায় উল্লেখিত দাগে ৭.৮৬ শতাংশ জমি আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। কিন্তু কয়েস মাহমুদ আমাদের জমিতে রায়ত থাকার কারণে, আমাদের পূর্ব পুরুষরা তাদের থাকার জন্য জমিও দিয়ে যান। এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে কয়েস মাহমুদ আমাদের ৭.৮৬ জমি দখলের পায়তারা করছেন।
এ ব্যাপারে কয়েস মাহমুদ বলেন, ওই দাগে ৭.৮৬ শতাংশ জমিটি তাদের। তারাই কয়েক বছর ধরে ভোগ দখল করছেন।
মেদুয়ারী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এসএ,বিআরএস, রেকর্ড মূলে ওই জমির মালিক বরাইদ গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে লুৎফর রহমান গংরা। কয়েস মাহমুদের কাগজপত্র যথাযথ নয় বলেও দাবি করেন আমিনুল ইসলাম।
Comments are closed.