ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।
প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়— যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।
ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
০১ নভেম্বর ২০২০, রোববার। ১৬ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৯০৩- পানামার স্বাধীনতাকামী জনতার আন্দোলন সফল হয় এবং তাদের স্বাধীনতা অর্জন।
১৯৫২- যুক্তরাষ্ট্র সর্ব প্রথম হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালায়। বোমাটি হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত বোমার চেয়ে প্রায় ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
১৯৫৪- আহমদ বিন বালার নেতৃত্বে আলজেরিয়ায় স্বাধীনতাকামী যুদ্ধ শুরু।
১৯৬৪- প্রথম পোস্ট অফিসের মাধ্যমে মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু।
১৯৭৯- বলিভিয়ার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল।
১৯৮১- অ্যান্টিগুয়া ও বারমুডা স্বাধীন হয়।
১৯৯২- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার মূল ক্যাম্পাস উদ্বোধন।
জন্ম
১৯৩২- সাবেক রাষ্ট্রপতি ও রাজনীতিবিদ অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
১৯৬৮- সাবেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার আকরাম খান।
১৯৭৩- ভারতীয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই।
১৯৭৪- সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষণ।
মৃত্যু
১৮৭৩- প্রখ্যাত নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র।
তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার। বাংলার আধুনিক নাট্যধারার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক দীনবন্ধু অবশ্য মাইকেল প্রবর্তিত পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক নাট্য রচনার পথে না গিয়ে বাস্তবধর্মী সামাজিক নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন। এই ধারায় তিনিই হয়ে উঠেন পরবর্তীকালের নাট্যকারদের আদর্শস্থানীয়। যা আজও বাংলা নাটকের জন্য আলোর পথ হয়ে আছে।
১৯৫০- জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তার সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও কয়েকটি ভ্রমণকাহিনী এবং দিনলিপিও রচনা করেন।
বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। অস্কারও জয় করে চলচ্চিত্রটি।
১৯৬৩- দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি নগো দিন দিয়েম।