যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার চীনও তৈরি করেছে ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম বোমা। এই বোমার প্রচণ্ড ধ্বংস সাধন ক্ষমতার চেয়ে বেশি ক্ষমতা রয়েছে শুধু পারমাণবিক বোমার। এমন বোমাগুলো সাধারণভাবে ‘মাদার অব অল বোম্বস’ নামে পরিচিত। চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
বোমার পরিচয়ে আমেরিকান মাদার অব অল বোম্বস কথাটি ব্যবহার করলেও চীনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞের দাবি, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বোমার চেয়ে আকারে ছোট ও হালকা।
২০১৭ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের অবস্থানের ওপর একটি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে। বোমাটির আনুষ্ঠানিক নাম ‘জিবিইউ ৪৩/৩ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স।’ এটি মাদার অব অল বোম্বস হিসেবে আখ্যায়িত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মাদার অব অল বোম্বস বানানোর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া ফাদার অব অল বোম্বস বানিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বোমার চেয়েও বড়। চীনা বোমাটি প্রস্তুত করেছে চীনের প্রতিরক্ষা খাতের সুবৃহৎ প্রতিষ্ঠান চায়না নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ কো-অপারেশন লিমিটেড (নরিনকো)। ডিসেম্বরের শেষে তাদের ওয়েবসাইটে বোমাটির পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। পরীক্ষায় বোমাটি একটি এইচ-সিক্সকে বোমারু বিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো বোমাটির বিস্ফোরণ সক্ষমতার তথ্য বাইরে প্রকাশ করা হলো বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
বেইজিংভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ উই ডংজু বলেছেন, ভিডিও থেকে বোমাটিকে দৈর্ঘ্যে পাঁচ ছয় মিটার বলে মনে হয়েছে। গ্লোবাল টাইমসকে বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘এই বোমার যে প্রচণ্ড বিধ্বংসী ক্ষমতা তাতে শক্তিশালীভাবে বানানো ভবন থেকে শুরু করে সামরিক স্থাপনা পর্যন্ত সবই উড়িয়ে দেয়া সম্ভব। শুধু শত্রু স্থাপনা ধ্বংস নয় বনভূমিআবৃত স্থানে সেনাবাহিনীকে পাঠাতে যদি কোনো স্থান পরিষ্কার করা দরকার হয়, তাহলে ওই বোমাটি ব্যবহার করে নিমেষেই ল্যান্ডিং স্পট তৈরি করে নেয়া যাবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো মাদার অব অল বোম্বসের সাথে চীনের এই বোমার তুলনা করতে গিয়ে ডংজু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বোমাটি বহন করতে বোমারু বিমানের বদলে রীতিমতো পরিবহন যানের প্রয়োজন হয়।