লক্ষ্মীপুরে পুলিশের কাজে বাধা, মারধর ও সদর হাসপাতালে ভাংচুরের অভিযোগে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানসহ যুবলীগের ২৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করছে পুলিশ। বুধবার রাতে সদর থানার এসআই আবদুল আলীম বাদী হয়ে সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে যুবলীগের ১০ নেতাকর্মীকে।
পরে আটককৃত যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান, রুপম হাওলাদার, ইকবাল হোসেন হিমেল ক্বারী, মিজানুর রহমান, আশিক মাহমুদ, আকিব খাঁন, রেজাউল ইসলাম, সাইফুদ্দিন, আজগর আলী ও মোহাম্মদ আলীকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের সবাই উপজেলা ও পৌর যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ১০জনকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার লাহারকান্দী ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানকে হত্যার চেষ্টায় মামলার আসামী হয়ে জেল হাজতে ছিলেন। উক্ত মামলায় মঙ্গলবার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরেন দেলোয়ার। বুধবার সকালে সে একটি ছুরি নিয়ে আবারও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানকে আক্রমণ করে।
পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আহত দু’জনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে শহরের যুবলীগ নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে যান। এ সময় দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করেন তারা। পুলিশ তাদের বাধা দিলে এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আবদুল আলীম, এএসআই গিয়াস উদ্দিন, পুলিশ সদস্য নয়ন, মেহেদী, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহউদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন।
জেলার পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন জানান, পুলিশের কাজে বাধা, মারধর এবং হাসপাতালে বিশৃংখলা ও ভাংচুর করার অভিযোগে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে। অপরাধী যতবড়ই হোক, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।