ভারতীয় আকাশযান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপরে ভারতীয় একটি গোয়েন্দা ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। দেশটির ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর ওই ড্রোনটির ছবি প্রকাশ করেছেন। গত মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাঘ সেক্টরে পাকিস্তান অংশের ভেতরে ওই ড্রোনটি গুলি করে ভূপাতিত করে পাকিস্তানি সেনারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে জেনারেল আসিফ গফুর লিখেছেন, একটি কোয়াডকপ্টার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুমোদন দেয়া হবে না ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, মনুষ্যবিহীন চার পা যুক্ত ড্রোনকে কোয়াডকপ্টার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ বছর পাকিস্তানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে এটাই প্রথম কোনো ভারতীয় মনুষ্যবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান। গত বছর এমন চারটি ভারতীয় ড্রোনকে ভূপাতিত করেছিল পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষীরা। নববর্ষের প্রাক্কালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে কড়া বক্তব্য রাখেন। তার কয়েক মিনিটের মধ্যে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মহাপরিচালক ওই ড্রোনটি ভূপাতিত করার কথা প্রকাশ করেন।

এ দিকে ভারতীয় সেনাদের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের কারণে একজন নারী নিহত ও অনেকে আহত হওয়ার ঘটনায় গত মঙ্গলবার দিনের শুরুতে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে ভারতের একজন সিনিয়র কূটনীতিককে তলব করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ভারতের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনারকে তলব করেছিলেন মহাপরিচালক (এসএ অ্যান্ড সার্ক) ড. মোহাম্মদ ফয়সাল।

এ সময় তিনি ভারতীয় সেনাদের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জনবহুল এলাকাগুলোকে অব্যাহতভাবে টার্গেট করে নিয়ন্ত্রণ রেখা ও ওয়ার্কি বাউন্ডারিতে অবস্থান করে।

২০১৮ সালে ভারতীয় সেনারা নিয়ন্ত্রণ রেখা ও ওয়ার্কিং বাউন্ডারিতে এমন ২৩৫০ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে নিরপরাধ ৩৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪২ জন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ভারতের এই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে ২০১৭ সাল থেকে। ওই বছরে ভারতীয় সেনারা ১৮৭০ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে ভারতের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top