খায়রুল আলম রফিক : দুই বন্ধুর সহযোগীতায় ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় একটি ব্যাচেলর কোয়াটারে ২দিন আটকে রেখে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের এ অভিযোগ দায়ের করেছেন কোতয়ালী মডেল থানায়।
অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা চান মিয়ার পুত্র প্রাইভেটকার চালক মো: জুয়েল মিয়াকে (৩৫) ।
অভিযোগে জানা গেছে, ত্রিশালের নজরুল একাডেমির নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে ৮ মাস আগে মোবাইলে জুয়েল মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক হয়। জুয়েল মেয়েটির কাছে নিজেকে ডিবি পুলিশ দাবি করে। দীর্ঘ ৮ মাস মেয়েটিকে ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন স্থানে এমনকি পুলিশ লাইনের সামনে এনে প্রেম নিবেদন করতে থাকে । গত ৭ অক্টোর সন্ধ্যা ৭টায় মেয়েটির মোবাইল নাম্বারে ম্যাসেজ পাঠায় জুয়েল। ম্যাসেজে জুয়েল এখনই তাকে বিয়ে করবে বলে । এখনই পুলিশ লাইনের সামনে আসতে হবে লিখে। সরল বিশ্বাসে মেয়েটি ময়মনসিংহ শহরে আসে । শহরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় দেখা করে । সেখানে কাজীর কথা বলে জুয়েল তার দুই বন্ধুদের সহযোগীতায় গাঙ্গিনারপাড়ে একটি ব্যাচেলর কোয়াটারে নিয়ে আটকে রাখে । সেখানে জুয়েল তাকে ২দিন ধরে ধর্ষণ করে । শনিবারর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিবিএমসি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নুরুর দোকান সংলগ্ন এলাকায় মেয়েটিকে ফেলে রেখে জুয়েল পালিয়ে যায় । অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা জ্ঞান ফিরাতে সক্ষম হয় । পরে তারা মেয়েটিকে বাড়িতে পোঁছে দেয় । এদিকে মেয়েটিকে বাড়িতে না পেয়ে তার বাবা ত্রিশাল থানায় একটি জিডি করেন । শনিবার মেয়েটি জুয়েল মিয়াকে প্রধান আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন । এব্যাপারে জানতে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদারের সরকারি নাম্বারের বার বার ফোন করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় । জুয়েল মিয়া মেয়েটির কাছে নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়েছে, এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম জানান, জুয়েল গোয়েন্দা সংস্থা বা ডিবি পুলিশের সদস্য নয় । তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান।
মেয়েটির বাবা হোমায়ুন কবির জানান, জুয়েল আমার ও মেয়ের মোবাইলে ম্যাসেজে ও ফোনে এই বলে হুমকি দিচ্ছে যে, বিষয়গুলি পুলিশকে জানানো হলে, আমাদেরকে হত্যা করা হবে ।