ইডেনের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা হত্যায় দুই গৃহকর্মীর মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আজ রোববার এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন গৃহকর্মী রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্না (৩৭) ও রুমা ওরফে রেশমা (৩০)।

রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মাহফুজা চৌধুরীর ছেলে সানিয়াত ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রায়ে তিনি সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকর চান তিনি।

গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মাহফুজা চৌধুরী রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের বাসায় খুন হন।

এ ঘটনায় মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমাত কাদির গামা দুই গৃহকর্মী রিতা ও রুমার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, গৃহকর্মী রিতা ও রুমা পরস্পর যোগসাজশে মাহফুজাকে হত্যা করে বাসা থেকে ২০ ভরি সোনা, একটি মুঠোফোন ও ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

মামলার পাঁচ দিনের মাথায় গৃহকর্মী রিতা ও রুমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় রিতা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ৮ জুলাই গৃহকর্মী রিতা ও রুমার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
বিজ্ঞাপন

আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে গত ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ২৭ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্যানুযায়ী, মাহফুজা চৌধুরীর বাসায় রিতা কাজে যোগ দেন গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি। তিনি সেখানে নিজের নাম বলেছিলেন স্বপ্না, আর বাড়ি কিশোরগঞ্জ। অথচ রিতার বাড়ি নেত্রকোনায়। খুন করার আগের দিন গৃহকর্মী রেশমা ও রিতা মিলে ঠিক করেন, ১০ ফেব্রুয়ারি মাহফুজা চৌধুরীকে খুন করবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেদিন মাহফুজা চৌধুরী দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লে দুজন মিলে তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন।

আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদনে বলেছে, রিতার কাছে পাওয়া গেছে মাহফুজা চৌধুরীর সোনার চেইন ও ভ্যানিটি ব্যাগ।

মাহফুজা চৌধুরী ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

Share this post

scroll to top