উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় নেত্রকোনার দশ উপজেলায় ৩০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ অন্যদিকে ভবনে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় ভবনগুলো সংস্কার জরুরি বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
এসব বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, নেত্রকোনায় মোট ১ হাজার ৩১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে জেলার কলমাকান্দায় ৬৯টি, বারহাট্টায় ৩৯টি, কেন্দুয়ায় ৩১, আটপাড়ায় ২৫টি, দুর্গাপুর ১৫টি, নেত্রকোনা সদর ২৩, পূর্বধলা ১৫টি, মদন ১১টি, মোহনগঞ্জ ৩২টি ও খালিয়াজুরীতে ৪২টি বিদ্যালয় ভবনসহ মোট ৩০২টি ভবন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এরমধ্যে দশ উপজেলায় ২২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে পানি প্রবেশ করায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বন্যার সময় ৭ উপজেলার ৪১টি বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে ৯০৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বিদ্যালয় খোলা হলে এসব ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে পাঠদান ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার চন্দন কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোজিন আরা রীটা বলেন, স্কুলগুলোর প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল না। স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে।
এ কারণে কিছু মেরামত ও রং করে প্রতিষ্ঠানগুলো খুললে শিশুদের স্বাস্থ্যের কোনো সমস্যা হবে না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ১ হাজার ৩১৪টি বিদ্যালয়ের বন্যাকবলিত ৩০২টি বিদ্যালয়ের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পিডিপি-৪ প্রোগ্রামের আওতায় নির্দেশনা রয়েছে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাচা ভবন থাকবে না। প্রায় ১শ’র মতো ভবন জরাজীর্ণ রয়েছে। যেগুলো দ্রুত ভবন নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আর করোনা পরিস্থিতির পর বন্যার বরাদ্দ ছাড়াও আমাদের ফান্ড আছে এগুলো দিয়ে সংস্কার করে বিদ্যালয়গুলো পাঠ উপোযোগী করে তোলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।