গৃহঅন্তরীণ থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই এখন এক নম্বর জরুরি কাজ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের নির্বাহী আদেশে আরো ৬ মাস খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পর মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমার কাছে যা মনে হয়, বড় একটা সংকট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই যে গৃহঅন্তরীণ হয়ে থাকা। তিনি গণতন্ত্রের নেত্রী। দীর্ঘকাল তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে বের করে আনা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এটা এক নম্বর জরুরি কাজ। দুই নম্বর হলো—আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি বিদেশে আছেন, তার বাংলাদেশে ফিরে আসা গণতন্ত্রের জন্যে বেশি প্রয়োজন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মূল বিষয়টা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা। শুধু রাজনৈতিক দলগুলো নয়, জনগণের মধ্যেও সে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এ দেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে। তারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছে, তারা স্বাধীনতাযুদ্ধে জয়ী হয়েছে, তারা নিজেদের ভাষার অধিকার ফিরিয়ে আনতে জয়ী হয়েছে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে জয়ী হয়েছে। ইনশাল্লাহ, এখনো গণতন্ত্রের এই যে সংগ্রাম, সমাজকে মুক্ত করার যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রামেও তারা জয়ী হবে, যদি ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন করা যায়। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সেই গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে সক্ষম হবো।’
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনআরসি) উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনআরসির পরিচালক জহিরউদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।