আসন মাত্র চারটি। সেই চার আসনে চারজন প্রার্থীকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে দীর্ঘ সময় ভার্চুয়াল বৈঠক করলেও কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি বিএনপি।
ফলে শনিবার রাত ১০টা নাগাদ প্রার্থী ও সমর্থকেরা অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরেছেন।
এসময় কর্মী সমর্থকদের বলতে শোনা যায়, এরই নাম বিএনপি। চারজন প্রার্থী মনোনয়নে জীবন ওষ্ঠাগত। এর মধ্যে বিকালে সমর্থকদের মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ১০জনের মতো। মাথা থেকে রক্ত ঝড়তেও দেখা গেছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত আসেনি শেষ পর্যন্ত।
দলীয় সুত্র জানায়, শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় মনোনয়ন বোর্ডের ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়। এর আগেই দুপুরের পর থেকে গুলশান কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। চারটি আসনের বিপরীতে মোট সাক্ষাতপ্রার্থী ছিলেন ২৯জন। তারাই স্বশরীরে গুলশানে হাজির হন। আর যারা তাদের সাক্ষাতকার নেবেন তারা সবাই নিজ নিজ বাসায়। সভাপতি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে। এমনি অবস্থায় ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার চলে দীর্ঘ প্রায় ৫ঘণ্টা।
প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য ও সরেজমিনে শনিবার বিকেলে গুলশান-২ নম্বরের ৮৬ নম্বর সড়কে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায় কয়েক হাজার মানুষের জটলা। অনেকে দুপুরের খাবার খেয়ে আসেননি। তাই খাবার গাড়ির সামনে তখনও ভীড়। এমনি পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা-১৮ আসনের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হয় সংঘর্ষ। ইটের আঘাতে একজনের মাথা ফেটে রক্তও ঝড়ে। এ নিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে সাক্ষাতপ্রার্থী মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ও যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরের মধ্যেও বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে শান্ত হলেও সমর্থকেরা অপেক্ষায় ছিলেন, চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম শুনে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ হয়নি।
জানতে চাইলে, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান রাত ১২টার দিকে বলেন, মনোনয়ন বোর্ডের ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার ও বৈঠক রাত দশটার দিকে শেষ হয়েছে। তবে মনোনয়ন বোর্ড কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারায় চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
রোববার হবে কি না জানতে চাইল তিনি বলেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সাংবাদিকদের জানানো হবে।
জানা গেছে, ঢাকা-১৮, ঢাকা-৫, সিরাজগঞ্জ-১ ও নওগাঁ-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যদের মৃত্যুজনিত কারণে আসন চারটি এখন শূন্য। বিএনপি আসন চারটিতে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর আগ্রহী প্রার্থীদের কাছে দলীয় ফরম বিক্রি করে। মোট ২৯জন প্রার্থী চারটি আসনের জন্য ফরম জমা দেন। শনিবার বিকেলে তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।