ময়মনসিংহের তারাকান্দার আব্দুর রাজ্জাক ফকির হত্যা মামলায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেয়া চারজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। অপরজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদ- বহাল আসামিরা হলেন- মীর জাহান, এমদাদুল হক এনদা ও আনিসুর রহমান। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি জিয়ারুল হককে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে। গতকাল ডেথ রেফারেন্স ও আসামি পক্ষের আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ফজলুল হক খান ফরিদ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ বলেন, শুনানি শেষে হাইকোর্ট মীর জাহান, এমদাদুল হক ওরফে এনদা, আনিসুর রহমানের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখেন। আর জিয়ারুল হকের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন।
নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৫ই অক্টোবর রাতে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের তারাকান্দার মধুপুর বাজার থেকে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে নিয়ে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাক।
এ সময় আব্দুর রাজ্জাকের ভ্যানের গতিরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করেন আসামিরা। পরে তার কাছে থাকা ১৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মরদেহ পাশের একটি ধানক্ষেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থল থেকে আসামি মীর জাহানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। তার দেয়া তথ্যমতে বাকি আসামিদের আটক করা হয়। এ মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ ও বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৪ঠা মে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালত চার আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেন। পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়।