দুই সপ্তাহের মধ্যে ফ্রান্সে করোনার গুরুতর সংক্রমণ ঘটতে যাচ্ছে

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের আরও গুরুতর সংক্রমণ ঘটতে যাচ্ছে। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে অনেক বেশি মানুষ ভর্তি করা হতে পারে। শনিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

বিএফএম টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভেরান অবশ্য সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা নাকচ করে দিয়েছেন। তার মতে শনাক্তকরণ পরীক্ষার মাধ্যমেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণ লকডাউনের বিষয়টি ভাবতে পারি না। লকডাউন ছিল উপচেপড়া রান্নার পাত্রের ঢাকনার মতো।’

শুক্রবার ফরাসি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৯৭৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময় মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৬৮৬ জনে পৌঁছেছে।

ফ্রান্সে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এখন তরুণরা। করোনার জটিল প্রভাব তাদের ওপর কম থাকায় হাসপাতালগুলোতে এখনও রোগীর চাপ খুব বেশি পড়েনি।

ভেরান বলেন, ‘গত বসন্তে মহামারি যে ঢেউ আঘাত হেনেছিল আমরা পুরোপুরি সেই অবস্থায় নেই। আমাদের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ধীর, তবে আমাদের অবশ্যই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে গড়ে ৫৫ জন রোগী হাসপাতালের আইসিইউতে প্রতিদিন ভর্তি হয়েছেন, এর মানে হচ্ছে, আমরা প্রতিমাসে হাসপাতালে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার রোগীকে আইসিইউ ইউনিটে পাচ্ছি। এটা প্রশমিত অবস্থা নয় এবং আমাদের অবশ্যই অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে।’

বর্তমানে হাসপাতালে যে রোগী রয়েছেন তারা দুই সপ্তাহ আগে সংক্রমিত হয়েছেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাই নিশ্চিতভাবেই আগামী ১৫ দিনে সংখ্যা বাড়বে, এটা ব্যাপক হবে না। এরপরও গুরুতর ক্ষেত্রে হাসপাতালে এবং আইসিইউ ইউনিটগুলিতে ভর্তি ব্যক্তিদের সংখ্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।’

Share this post

scroll to top