দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবলীগের দুই নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আসাদুল ইসলাম।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই বহিস্কারের কথা জানায় সংগঠটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুবলীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে দিনাজপুর জেলা ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর আসাদুল ঘোড়াঘাট যুবলীগের সদস্য।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও জখম করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে আসাদুল হক ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।