ভারতের রাজস্থানের উদয়পুর থেকে সম্প্রতি সামনে এসেছে এক অদ্ভূত ঘটনার কথা। যা কিনা ঘুরছে ওই এলাকার লোকের মুখে মুখে। ছাগলের মালিকানা দাবি করে দুই ব্যক্তি হাজির হয়। পুলিশ ও গ্রামের সরপঞ্চ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ছাগলই ন্যায়বিচার করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।
এ ঘটনা ঘটেছে উদয়পুরের বল্লভনগর তহসিলের খেরোদা থানা এলাকায়। সেখানে দুই ব্যক্তি একই ছাগলের মালিকানা দাবি করায় বেকায়দায় পড়েন সকলে। এরপরে খেরোদা থানা দুই মালিককে ওই ছাগল ও ছাগলের বাচ্চা নিয়ে হাজির হতে বলে।
মালিকেরা ছাগল ও শাবক নিয়ে হাজির হলে ছাগলটি গিয়ে বাচ্চাদের দুধ পান করায়। এর ফলেই পুরো ঘটনা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, খেরোদা থানার অন্তর্গত ধোলাকোট গ্রামের বাসিন্দা বাবরু রাওয়াতের ছাগল বনে চরতে গিয়ে হারিয়ে যায়। বাবরু রাওয়াত যখন আশেপাশের এলাকায় ছাগল সম্পর্কে খোঁজ নিতে থাকে, তখন তিনি খোঁজ পান তার গ্রাম থেকে চার কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় তার ছাগল রয়েছে।
তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন ওঙ্কারলাল রাওয়াতের বাড়িতে তার ছাগল বাঁধা। ওঙ্কারলাল জানান, ওই ছাগলটি তার। হাল না ছেড়ে বাবরু গ্রামের সরপঞ্চদের কাছে সাহায্য চায়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ না মেলায়, বিষয়টি খেরোদা থানায় জানান তিনি। পুলিশ বাবরু, ওঙ্কারকে ছাগল নিয়ে থানায় হাজির হতে বলেন।
এরপর দুই গ্রামের বাসিন্দারা সেখানে হাজির হন। পুলিশ প্রথমে উভয় পক্ষকেই বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কেউ রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ছাগলের ওপরেই দায়িত্ব দেয়া হয়। ওঙ্কারের কাছে থাকা ও বাবরুর কাছে থাকা ছাগলের বাচ্চাদের দু’পাশে রেখে ছাগলকে মাঝে ছেড়ে দেয়া হয়।
এরপরেই দেখা যায়, ছাগলটি গিয়ে বাবুরুরের কাছে থাকা বাচ্চাগুলিকে মাতৃস্নেহে দুধ খাওয়ায়। কিন্তু ওঙ্কারের নিয়ে আসা বাচ্চাগুলিকে মাথা দিয়ে আঘাত করে সরিয়ে দেয়। ছাগলের এই ন্যায়বিচার দেখে, সেখানে উপস্থিত সমস্ত মানুষ অবাক হয়ে যায়। এরপরে বাবরুর হাতে ছাগল তুলে দেয়া হয়।