আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মানহানির মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাজাহান খানের আইনজীবী সৈয়দ কামরুজ্জামান। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ জুলাই ইনকিলাব পত্রিকায় ‘শাজাহান খানের মেয়ের করোনা সনদ জালিয়াতি’ সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়। সম্পাদকীয়তে মানহানিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। মামলার আরজিতে ইনকিলাবে প্রকাশিত সম্পাদকীয় হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।
আজ রোববার সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় কাদেরিয়া পাবলিকেশনস অ্যান্ড লিমিটেডের পরিচালক আবদুল কাদেরকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় শাজাহান খান দাবি করেছেন, তাঁর একমাত্র মেয়ে ঐশী খান ইংল্যান্ডের কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। গত ২০ ফেব্রুয়ারি লন্ডন থেকে বাংলাদেশে আসেন। তখন করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় তাঁর মেয়ে তখন ইংল্যান্ডে যেতে পারেননি। ২৬ জুলাই বিমানের একটি ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি নিয়ম মেনে করোনার নমুনা দেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ২৪ জুলাই করোনার নমুনা দেন। পরদিন বিকেল চারটার দিকে তাঁর করোনা নেগেটিভ এসেছে বলে রিপোর্ট দেখতে পান। ওই রিপোর্ট নিয়ে ২৬ জুলাই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। তখন ইমিগ্রেশনে যাচাইয়ের সময় সেখানকার কর্মকর্তারা ঐশীকে জানান যে অনলাইনে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ দেখাচ্ছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, করোনার এই ভুল রিপোর্টের জন্য দায়ী সরকারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেন্স সেন্টার। ঐশীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির পরিচালক চিকিৎসক আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে ভুলের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাঁদের ডেটা অপারেটরের ভুলের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়। যার জন্য শাজাহান খান কিংবা তাঁর মেয়ে ঐশী খান মোটেও দায়ী নন।