২০১৮ সালে বাংলাদেশের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আজ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে জয় দিয়ে বছরের শেষটা রাঙাতে চায় টাইগাররা। গতকাল ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন আশাই ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ সুনীল যোশি।
শুক্রবার বাংলাদেশ দলের কোনো অনুশীলন ছিল না। এদিন জুনিয়ররা হোটেলে থাকলেও সিনিয়র ক্রিকেটাররা বেশিরভাগই যার যার বাসায় ফিরে গেছেন। যে কারণে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগের দিন টিম হোটেলে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন স্পিন কোচ সুনীল যোশি।
তার কথায়, ‘প্রথম ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলো আমাদের ফোকাসে রাখতে হবে এবং সেই দিকগুলো কাজে লাগিয়ে শেষ ম্যাচে জয় পেতে চেষ্টা করব। আমরা জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে চাই। ২০১৮ সাল আমাদের ভালোভাবে শুরু হয়েছিল। শেষ সিরিজে জয় দিয়ে আমরা ক্রিসমাস এবং নতুন বছরের উপহার দিতে চাই। যে কারণে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার পরিকল্পনা নেই। শেষ ম্যাচে আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামার সম্ভাবনা বেশি।’
টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সাকিব দ্বিতীয় ম্যাচেও ছিলেন উজ্জ্বল। জ্বর নিয়ে খেলেও ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪২ রানের পাশাপাশি তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে বল হাতে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নিয়ে কীর্তি গড়েন।
এর আগে বাংলাদেশের ইলিয়াস সানি ও মোস্তাফিজুর রহমান এই কীর্তি গড়েন। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইলিয়াস সানি ১৩ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। ২০১৬ সালে ভারতে টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। আর দ্বিতীয় টি-২০তে সাকিব ৫ উইকেট নিয়েছেন ২১ রানের খরচায়।
দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের নায়ক সাকিবের প্রশংসায় যোশি বলেন, ‘আমার মতে সাকিব একজন অসাধারণ ক্রিকেটার। আমরা সবাই জানি সে কতটা মেধাবী। আপনি দেখেন সে টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-২০ সব দিকেই সেরা।’
টি-২০তে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে যোশি বলেন, ‘আমি মনে করি, টি-২০ ফরম্যাট ব্যাটসম্যানদের খেলা। এখানে বোলারদের বেশি কিছু করার থাকে না। তারপরও কোনো বোলার যদি ভালো করে তাহলে তাদের ক্রেডিট দিতে হবে। বোলিং বিভাগে পেসার ও স্পিনাররাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি মেহেদী ও রিয়াদের দিকে তাকান- তারাও গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পেয়েছে। আমি মনে করি, ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং তিন বিভাগের সমন্বয়েই ম্যাচটা জিতেছি। আমরা অসাধারণ খেলেছি বলেই জয়টা ধরা দিয়েছে। আমাদের খেলার ধরন ভিন্ন ছিল। সিলেট ও মিরপুরে আমরা যে মানসিকতা নিয়ে খেলেছি তা চমৎকার ছিল। জয়ের পর সবাই খুশি।’
বাংলাদেশে এখন শীতকাল। প্রতিদিন সন্ধ্যা গড়াতে না গড়াতেই শিশির পড়া শুরু হয়। ক্রিকেট ম্যাচে শিশিরের একটা প্রভাব সবসময় থাকে। তবে সুনীল যোশি মনে করেন, শিশিরের কারণে ম্যাচে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। ‘আমি মনে করি, সাদা বলের ক্রিকেটে শিশিরের ফ্যাক্টর খুব একটা প্রভাব ফেলে না। এটা আসলে কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে। আর আমাদের এই কন্ডিশনে এটা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন হয় না।’
দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ের নায়ক সাকিবও ভালো সম্ভাবনা দেখছেন, ‘দ্বিতীয় টি-২০ শুরুর আগে বলেছি, এই কন্ডিশনটা ওদের থেকে আমাদের বেশি ফেভারেবল হওয়া উচিত। আমরা এখানে সব সময় ম্যাচ খেলি, আমাদের প্রতিটা খেলোয়াড় ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে এখানে অসংখ্য ম্যাচ খেলেছে। এই মাঠ আমাদের অনেক পরিচিত। সময় পেলে মিরপুরের উইকেট বেশ ভালোই প্রস্তুত করার সুযোগ থাকে। মিরপুরের উইকেট খারাপ বলতে পারব না। কারণ আমার ক্যারিয়ারের অর্ধেকই এখানে। বোলিং-ব্যাটিং সবই এখানে। আমার কাছে মিরপুরের উইকেটই ভালো। তাই এখানে পারফর্ম করার বেশ সুযোগ থাকে।’