খ্রিষ্টান মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত চারটি কলেজ ছাড়া বাকি কলেজগুলোতেই এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতেই উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। ঢাকার চারটি কলেজ তথা নটর ডেম, হলিক্রস, সেন্ট জোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ভার্চুয়াল পরীক্ষা নেবে।
দেশের অন্যান্য কলেজে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। আগামী রোববার থেকে শুরু হবে অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খ্রিষ্টান মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত ওই সব কলেজ কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। ওই চারটি কলেজে আগামী ৯ থেকে ২৪ আগস্টের মধ্যে ভার্চুয়াল লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, নটর ডেম কলেজ, হলিক্রস কলেজ, সেন্ট জোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেবে। এরা নিজেদের মান বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চার কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাঠাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, একাদশ শ্রেণীতে সাধারণত শিক্ষার্থীর আবেদনের পছন্দক্রম থেকে একটি কলেজ ভর্তির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। আর ভর্তির পুরো কাজটি অনলাইনে সম্পাদন করা হয়। ভর্তির যোগ্যতা এসএসসির ফলাফল। উল্লিখিত চার কলেজ বাদে দেশের বাকি কলেজগুলোতে এই নিয়মেই ভর্তিকার্যক্রম চলবে। রোববার থেকে শুরু হওয়া এই ভর্তিকার্যক্রম চলবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরই মধ্যে তিন ধাপে অনলাইন ভর্তির সময়সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এ বছর ভর্তিপ্রক্রিয়ায় এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনপ্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। শুধু অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে এবার আবেদন ও ভর্তি ফি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পাস করেছে। এরা সবাই চাইলেই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে। দেশের কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ২৫ লাখেরও বেশি আসন রয়েছে। তবে রাজধানী ঢাকা এবং জেলা শহরের প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা কলেজগুলোতেই শিক্ষার্থী ভর্তির চাপ থাকে বেশি। অনেক উপজেলা পর্যায়ের কলেজের বেশির ভাগ আসনই প্রতি বছর খালি থাকে।