নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার উচিতপুর হাওড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১৫ জনের জানাযা শেষে ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সোয়া ৬ টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোণাপাড়া ঈদগাহ মাঠে ওই গ্রামের ১২ জনের জানাজা একসাথে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযা শেষে সকালেই সকলের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এদিকে বুধবার রাতেই ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামে পিতা-পুত্রের লাশ পৌছে এবং রাতেই জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চরসিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়িদ ঘটনাস্থল থেকে লাশগুলো গ্রহণ করে বুধবার রাতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসেন। লাশগুলো ‘মাদরাসায়ে মারকাযুস সুন্নাহ’ মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে আনা হলে স্বজনদের আহাজারিতে এক শোকাবহ দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠে। ট্রলার ডুবিতে ১৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ট্রলার ডুবিতে নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৩ জনেরই বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় এবং বাকী দুই জনের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়।
এলাকাবাসিরা জানান, বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচা কোনাপাড়া ‘মাদরাসায়ে মারকাযুস সুন্নাহ’র মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯ জন শিক্ষক ও দু’জন শিক্ষার্থীসহ ৪৮ জন নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার পর্যটন খ্যাত ‘মিনি কক্সবাজার’ উচিতপুরে বেড়াতে যান। দুপুরে সেখানে ট্রলার ডুবিতে ১৭ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে পিতা-পুত্রসহ একই পরিবারের আটজন এবং সাতজন মাদরাসা শিক্ষক রয়েছেন। #