জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় টিআর – কাবিকা প্রকেল্পে দুর্নীতি ও অনিয়ম মারাত্বক পর্যায়ে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর ও কাবিখা প্রকল্প বাদেও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার স্বরূপ উপজেলায় ৪১টি ঘরের বরাদ্দ তছরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে জামালপুর জেলার মেলান্দহে নির্মিত ৫৪ টি ঘর মরণ ফাঁদে পরিনত হচ্ছে মর্মে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তালিকাভূক্ত ৫৪টি ঘরের মধ্যে জনৈক এক সংবাদকর্মীর ঘর বরাদ্দ থাকায় প্রশাসন একটু নড়েচড়ে বসলেও বাকী ঘরগুলি যেইসেই রয়ে যায়।
উক্ত সংবাদকর্মীর ঘরটি নিয়ম-মাফিক তৈরি করার চেষ্টা করে। তদন্তে কেঁচু খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত-দরিদ্র গৃহহীনদের জন্য মেলান্দহে ২০১৭-২০১৮ তে ১টি, ২০১৮-২০১৯ তে ২টি ও ২০১৯-২০২০ অর্থ বৎসরে ৩৮টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত ঘরগুলি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজস্ব দপ্তরের নিয়ন্ত্রণেই নির্মান কাজ পরিচালনা করেন। প্রথমত ঘরগুলি সিমেন্ট এর খুঁটি, টিন কাঠে দিয়ে তৈরি হলেও পরবর্তীতে ইটের দেয়াল তৈরী করে পাঁকা ঘর বানিয়ে দেয়। টিনের ঘরগুলি (জিএল থেকে পিএল) পিরা ৫ ইঞ্চি করা থাকলেও ইটের দেয়াল নির্মাণ করার সময় ৫ ইঞ্চি পিরার উপর ইটের দেয়াল নির্মান করে। মাঝে সিমেন্ট এর খুঁটি থাকলেও দেয়াল গুলির কোন নিল্টন নেই। কাজ করার এক সপ্তাহের মধ্যেই অধিকাংশ ঘরে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। যা সরজমিনে দেখা যায়।
উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিটি ঘরে ব্যয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হলেও দূর্যোগ সহনীয় ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের ঘরগুলি ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা বরাদ্দ দেয়। অনেকেই বলাবলি করছে, যে কোন মুহুর্তে ঝড়ো হাওয়ায় তছনছ করে দিতে পারে সরকারি বরাদ্দে পাওয়া গৃহহীনদের নব নির্মিত ঘরে বসবাসকারী পরিবারগুলির জীবন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, অন্য উপজেলার চাইতে আমরা ভাল কাজ করেছি।