যমুনাসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় ৬ লাখ মানুষ।
অপরদিকে বন্যার পানিতে ডুবে নিখোঁজের পর সকালে সাবেক সেনা সদস্য মুক্তিযোদ্ধার নুরুল ইসলাম হিরুর (৭২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি গত বুধবার সন্ধ্যায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সুগারমিল ভাটিপাড়া এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলের অদূরে আখ খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ ও বকশীগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সব মিলিয়ে জেলার সাত উপজেলার সাত পৌরসভা ও ৫০টি ইউনিয়নের ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় পানিবাহিত রোগপ্রতিরোধ ও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবিলায় ৮০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এসব মেডিকেল টিম বন্যা দুর্গত এলাকায় কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, জেলার সাত উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের শুকনো খাবারের জন্য নগদ সাত লাখ টাকা ও ৩ হাজার ৪০৮ মে. টন জিআর চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের এসব সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল বলে অভিযোগ বন্যা দুর্গতদের।