২ লাখ ৩০ হাজার ৭০ জন নতুন রোগী পাওয়া গেছে বিশ্বজুড়ে। ২৪ ঘণ্টার হিসেবে এটা সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত। আমেরিকায় এখন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৮৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা মহাদেশে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি রোগী। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ৩৩ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপে শনাক্ত হয়েছে ১৯ হাজারের মতো রোগী।
এদিকে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৯৭ লাখ শিশু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে হয়তো আর কখনোই স্কুলে ফিরে আসবে না। ব্রিটেনের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইউকে বলছে, এই সংকটের যে অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পড়বে, তার ফলে অনেক শিশুকে হয়তো পড়াশোনা বাদ দিয়ে আগেই কাজে ঢুকে যেতে হবে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই এ ধরণের পরিস্থিতির শিকার হবে বেশি। অনেককে হয়তো আগেই বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে। যেসব দেশে এভাবে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বাদ দিয়েস্কুল থেকে ঝরে পড়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে আছে পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলো, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তান।
অন্যদিকে মেক্সিকোতে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজারের বেশি এখন। যা এখন ইতালির চেয়ে বেশি। ইতালি বিশ্বের করোনাভাইরাসের উপকেন্দ্র ছিল একটা সময়। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর বলেন, করোনাভাইরাস একটা সময় এই দেশে দুর্বল হয়ে পড়ছিল কিন্তু রক্ষণশীল গণমাধ্যম আবারো এটা নিয়ে তোলপাড় তৈরি করেছে। রোববার ২৭৬ জন নতুন করে মারা গেছেন, ৪৪৮২ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৪ জনে। এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৬ জনে। এ সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। সূত্র: বিবিসি